
আন্দোলন বন্ধের জন্য লকডাউন আর সামাজিক দূরত্বের বিধি আসেনি
Author: BD FactCheck Published: December 22, 2020, 9:47 pm | Updated: December 23, 2020, 2:29 pm
অনলাইনে একটি দাবি ছড়ানো হচ্ছে যে করোনাভাইরাস এর সংক্রমণ রুখতে আরোপিত লকডাউন ও সামাজিক দূরত্বের মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার পিছনে কারণ ছিল মানুষকে আন্দোলন/বিপ্লব থেকে বিরত রাখা।
সামাজিক মাধ্যমে ছড়ানো পোস্টগুলোতে লেখা আছে- ”দেখুন, যেভাবে বিপ্লবের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা হয়েছিল। আমরা পানশালায় দেখা করেছি, দেখা করেছি রেস্টুরেন্টে ও চার্চে। অথচ আজ সব বন্ধ, কিছু বুঝতে পারছেন?” দেখুন এখানে ।
কিন্তু এই দাবিটি সত্য নয়। কারণ ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির সংস্পর্শ কমানোই ছিল ভাইরাসটির সংক্রমণ কমানোর একমাত্র উপায়। এবং এই কারণেই লকডাউন আরোপ করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি) এর ব্যাখ্যা অনুযায়ী, করোনা তখনই ছড়ায় যখন কেউ আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেন।
এর পেছনে যুক্তি হলো যখন আক্রান্ত ব্যক্তি হাঁচি কিংবা কাঁশি দেন অথবা কথা বলেন তখন তার শ্লেষ্মা বা লালার ক্ষুদ্র কণা নিকটস্থ ব্যক্তির নাক ও মুখে প্রবেশ করতে পারে যার ফলে তিনিও আক্রান্ত হন।
সিডিসির ভাষ্য অনুযায়ী, কোন ব্যক্তি যত বেশী অন্যের সংস্পর্শে থাকবেন ততই তার সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি বাড়বে। এর অর্থ হলো রেস্টুরেন্ট, পানশালা ও চার্চে সক্রমণের ঝুকি বেশী কারণ এসব স্থানে অল্প জায়গায় বেশী মানুষ খুব কাছাকাছি অবস্থানে থাকেন।
তাছাড়া যেসব স্থানে ভেন্টিলেশন অপর্যাপ্ত অর্থাত খোলা বাতাসের চলাচল কম সেসব স্থানে ভাইরাস বাতাসে ভেসে ছড়াতে পারে যার ফলে এসব জায়গায় ঝুঁকি আরো বেড়ে যায়।
তবে কোন রোগের সংক্রমণ ছড়ানো রোধ করতে ব্যক্তি পর্যায়ে মেলামেশা কমানোর এই পদ্ধতি নতুন কিছু নয়।
এইচওয়ানএনওয়ান (H1N1) এবং মিডল ইস্ট রেস্পিরেটরি সিন্ড্রোম (MERS) এর মতো ভাইরাস মোকাবেলায় মোটামুটি এ্ররকম পদক্ষেপই নেয়া হয়েছিল।
মোটকথা, করোনা সংক্রমণ রুখতে লকডাউন ও সামাজিক দূরত্বের বিধি বেশ কার্যকর যা ইতোমধ্যে প্রমাণিত হয়েছে, কোন সম্ভাব্য বিদ্রোহ কিংবা বিপ্লব রুখতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।
রয়টার্স অবলম্বনে