
করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে ‘কেউ কুমিরে পরিণত হলে’ দায় ভ্যাকসিন গ্রহীতার: বললেন বলসোনারো
Author: BD FactCheck Published: December 19, 2020, 11:34 pm | Updated: December 20, 2020, 1:31 am
ব্রাজিলে প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো এবার করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে অদ্ভুত কথা বললেন। তার মতে, ফাইজার ও বায়োএনটেকের ভ্যাকসিন গ্রহণ কররে কেউ ‘কুমিরে পরিণত হলে’ এটা তাদের নিজেদের দোষে হবে!
উগ্র ডানপন্থী এই রাজনীতিবীদ গত বছরের শেষের দিকে করোনাভাইরাসের আগমনের পর থেকেই ভাইরাসটি নিয়ে সন্দিগ্ধ ছিলেন এবং একে সাধারণ ফ্লু এর মতোই একটি ভাইরাস বলে মনে করেন। এমনকি এ সপ্তাহে ব্রাজিলে টিকাদান কর্মসূচীর উদ্বোধনের সময় তিনি জানান তিনি নিজে করোনার ভ্যাকসিন গ্রহণ করবেন না।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, ”ফাইজারের চুক্তিতে এটি স্পষ্ট লেখা যে, ‘কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার দায় আমরা নেবো না’। এর মানে আপনি কুমির হয়ে গেলেও এটা আপনার সমস্যা।”
ব্রাজিলে ফাইজারের ভ্যাকসিনটি কয়েক সপ্তাহ ধরে ট্রায়াল চালিয়ে যাচ্ছে, আর বৃটেন ও যুক্তরাষ্ট্রে ইতোমধ্যে প্রয়োগ শুরু হয়েছে।
বলসোনারে ফাইজারের দিকে ইঙ্গিত করে বলেন, ”আপনি যদি অতিমানব হয়ে যান, কোন নারীর যদি দাঁড়ি গজাতে শুরু করে, অথবা কোন পুরুষ যদি নারীর মতো কথা বলতে শুরু করেন তবে এতে তাদের (ফাইজারের) কিছু করার নেই।”
গত বুধবার ব্রাজিলে টিকাদান শুরুর সময় তিনি জানান টিকা বিনামূল্যে দেয়া হবে, তবে বাধ্যতামূলক নয়।
যদিও বৃহস্পতিবার উচ্চ আদালত ভ্যাকসিন গ্রহণকে বাধ্যতামূলক বলে রুল জারি করেছে, তবে আদালত এও জানিয়েছে ভ্যাকসিন গ্রহণে কারো উপর বল প্রয়োগ করা যাবে না। অর্থাৎ কর্তৃপক্ষ ভ্যাকসিন না নেওয়ার কারণে যে কাউকে জরিমানা করতে পারে কিংবা নির্দিষ্ট কিছু জায়গায় যেতে নিষেধ করতে পারে, তবে ভ্যাকসিন নেয়ার জন্য জবরদস্তি করতে পারবে না।
ব্রাজিলের ২১২ মিলিয়ন মানুষের প্রায় ৭.১ মিলিয়ন মানুষ করোনা আক্রান্ত হয়েছেন এবং ১ লক্ষ ৮৫ হাজারের মতো মারা গিয়েছেন।
বলসোনারো জানান, ব্রাজিলের ভ্যাকসিন বিষয়ক নিয়ন্ত্রক সংস্থা অ্যানভিসা অনুমোদন দিলেই ”যারা ভ্যাকসিন নিতে চান তারা পাবেন। তবে আমি নিবো না।”
তিনি বলেন, ”কিছু মানুষ মনে করেন আমি খারাপ দৃষ্টান্ত স্থাপন করছি। কিন্তু এসব অপদার্থ ও নির্বোধদের আমি বলি যে আমি ইতোমধ্যে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছি, আমার মধ্যে অ্যান্টিবডি জন্ম নিয়েছে, তাহলে আমি কোন ভ্যাকসিন নিবো?”
বাস্তবে অনেক ক্ষেত্রে অনেকে দ্বিতীয়বারও ভাইরাসটি দ্বারা সংক্রমিত হচ্ছেন, যদিও এটা এখনো অজানা যে কেউ দ্বিতীয়বার সংক্রমিত হতে পারেন কি না অথবা অ্যান্টিবডি কতদিন কাজ করে।
গত জুলাইয়ে বোরসোনারো করোনা আক্রান্ত হন এবং তিন সপ্তাহের মধ্যে সেরে উঠেন। ব্রাজিলে বর্তমানে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে।
সূত্র: ফ্রান্সটোয়েন্টিফোর