ফ্যাক্টচেক

ফ্যাক্টচেক

October 11, 2020, 8:04 pm

Updated: October 14, 2020, 8:22 pm

করোনায় খাদ্যাভ্যাসে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে ফেইক নিউজ

Author: BD FactCheck Published: October 11, 2020, 8:04 pm | Updated: October 14, 2020, 8:22 pm

করোনায় খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে অজস্র ভুয়া সংবাদ এশিয়ার মানুষদের খাদ্যাভাসে নেতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। এছাড়া এসব বিভ্রান্তিকর তথ্য ভোক্তার মধ্যে দুশ্চিন্তার উদ্রেক ঘটাচ্ছে। 

গত ৭ জুন জাতিসংঘের ফুড এন্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশোন, ওয়ার্ল্ড অর্গানাইজেশন ফর এনিমাল হেলথ, ওয়ার্ল্ড ফুড পোগ্রাম এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা একটি ওয়েবিনার আয়োজন করে। যার শিরোনাম ছিলঃ ফুড সেফটি ইন দ্য নিউ নরমাল। সেখানে উপরিউক্ত তথ্য তুলে ধরা হয়।

উক্ত আয়োজনে খাদ্য সংক্রান্ত ভুয়া তথ্য এবং গুজবের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে আলাপ হয়। বিশেষ করে মাংস এবং দুগ্ধ জাতীয় খাবার থেকে করোনা ছড়ানোর আশঙ্কা করায় এই নেতিবাচক প্রভাব বেশি পড়েছে। এছাড়া কিছু দেশে আমদানি করা ফল-সবজী নষ্ট করার আয়োজন করা হয়েছিল। এতে প্রচুর পরিমাণে খাদ্য পণ্য নষ্ট হয়েছে।

চীনের জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা যাচাইকরণ কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক উপদেশটা জুনশি চ্যান জানান, ভুয়া তথ্যের কারনে খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ, ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের বিরাট ঝক্কিতে পড়তে হচ্ছে। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকল সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হওয়া তথ্যাদির দিকে নজর রাখা উচিত এবং সে মোতাবেক বিভিন্ন দাবির ব্যাখ্যা দেয়া উচিত। যেমন খাবারের মাধ্যমে করোনা ছড়ায় না এবং কোন খাবার করোনা থেকে মুক্তিও দিতে পারে না। যেকোন সংকটে খাবার সংক্রান্ত ভুয়া তথ্য খাদ্য নিরাপত্তার জন্যে বিরাট হুমকি। এতে খাদ্যের সাথে জড়িত বানিজ্য সংকটে পড়ে যায়। অথচ স্বচ্ছতা এবং যথাযথ শিক্ষা এই সমস্যাকে সহনীয় করতে পারে।

চীনে খাদ্যজনিত রোগের পর ভুয়া তথ্যকে খাদ্যের নিরাপত্তার জন্যে দ্বিতীয় হুমকি বলে মনে করা হয়। খাদ্য সরবরাহের ক্ষেত্রে এইসব ভুয়া তথ্য ভোক্তার আস্থা নষ্ট করে। চীনা সরকার বিজ্ঞানীদের এসব তথ্যের বিরুদ্ধে অভিমত জানানোর আহবান জানিয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ভোক্তার খাদ্য নিরাপত্তা সংক্রান্ত সচেতনতা বৃদ্ধিই পারে সমস্যাটির দীর্ঘমেয়াদী সমাধান দিতে।

উক্ত আয়োজনে চীন, ভারত এবং সিঙ্গাপুরের অতিথিরা করোনাকালে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে নিজেদের অভিমত প্রকাশ করেন। ৮৪টির মত দেশ থেকে ১৫০৫ জন উক্ত ওয়েবিনারে যুক্ত হোন এবং সাড়ে চার হাজারের মত লোক সেটি দেখেছেন।

এই নতুন করোনা-বাস্তবতায় খাদ্য নিরাপত্তা বেশ কিছু বাড়তি সুবিধা পেয়েছে যেমন পরিস্কার পরিছন্নতা। তাই এগুলোকে ভবিষ্যতের জন্যে কিভাবে নিয়মাকারে প্রস্তাবের মাধ্যমে ভোক্তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায় সেগুলো সামনে আনতে হবে। 

করোনার সময়ে নতুন ধরনের খাদ্য ব্যবস্থাপনা সামনে এসেছে যেখানে বেশিরভাগ লোক সামাজিক মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য থেকে ডেলিভারি সুবিধা গ্রহণ করছে। সেক্ষেত্রে ভোক্তারা খাদ্যের নিরাপত্তা ও মান নিয়ে বেশ সচেতন ছিলেন। 

www.foodsafetynews.com অবলম্বনে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *