ফিচারড নিউজ

ফিচারড নিউজ

November 26, 2020, 10:21 pm

Updated: November 29, 2020, 3:20 pm

কোভিড ভ্যাকসিন নিয়ে ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় এক কাতারে ইউটিউব, ফেসবুক ও টুইটার

Author: BD FactCheck Published: November 26, 2020, 10:21 pm | Updated: November 29, 2020, 3:20 pm

ভুয়া তথ্য প্রতিরোধে নতুন পথ খুঁজতে বৃহৎ তিনটি সামাজিক মাধ্যম সাইট এখন ফ্যাক্ট-চেকার, বিভিন্ন দেশের সরকার ও গবেষকদের সাথে মিলে কাজ করবে বলে জানিয়েছে।

করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে ফেসবুক, টুইটার ও ইউটিউবে ভুল ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো সাধারণ একটি ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে ভাইরাস প্রতিরোধে ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হচ্ছে।

আবার একই সাথে বিভিন্ন দেশ করোনা অতিমারি বিদায় করতে করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কারে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।

অবশ্য ভুয়া তথ্য প্রতিরোধে তিনটি মাধ্যমের এই উদ্যোগ কিভাবে কাজ করবে সেটা এখনো স্পষ্ট নয়।

ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান Full Fact পুরো বিষয়টি তত্ত্বাবধান করবে।

ফেসবুক, টুইটার ও গুগল মালিকানাধীন ইউটিউবের সাথে এই উদ্যোগে যুক্তরাজ্যের ডিপার্টমেন্ট ফর ডিজিটাল, কালচার, মিডিয়া এন্ড স্পোর্ট, রয়টার্স ইন্সটিটিউট ফর দ্যা স্টাডি অব জার্নালিজম, আফ্রিকা চেক, কানাডার প্রাইভেসি কাউন্সিল এবং আরো পাঁচটি ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিষ্ঠান একসাথে কাজ করবে।

ভুয়া তথ্য মোকাবিলায় নতুন ধারা সংযোজন করতে ফেসবুকের অর্থায়নে এই উদ্যোগ প্রাথমিকভাবে জানুয়ারী থেকে কাজ শুরু করবে।

অনেকে মনে করছেন করোনাভাইরাস ও ভ্যাকসিন নিয়ে অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য মোকাবেলায় বৃহত তিনটি মাধ্যমের এই উদ্যোগ সামাজিক মাধ্যমের সমালোচনাকারীদের সন্তুষ্ট নাও করতে পারে।

Full Fact এর বক্তব্য অনুযায়ী জানুয়ারীতে যখন এই উদ্যোগ শুরু হওয়ার কথা তখন বিভিন্ন দেশ করোনা ভ্যাকসিনের প্রয়োগ শুরু করে দেওয়ার সম্ভাবনা আছে। যদিও এই ভ্যাকসিন নিয়ে মাসের পর মাস ধরে ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ছড়ানো হচ্ছে। এর পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ও যথাযথভাবে পরীক্ষা না করার বিষয় নিয়েও বিভিন্ন গল্প তৈরী করা হয়েছে। আবার করোনা ভ্যাকসিনকে মানুষের শরীরে ছোট ইলেক্ট্রনিক চিপ প্রবেশ করিয়ে তাদেরকে ট্র্যাক করার জন্য বিল গেটসের একটি ষড়যন্ত্র বলেও ছড়ানো হয়েছে।

ফেসবুকের ফ্যাক্ট চেকিং পার্টনার Full Fact জানিয়েছে এবছর তারা করোনাভাইরান ও ভ্যাকসিন নিয়ে ১৬০ টি ফ্যাক্ট চেকিং প্রতিবেদন করেছে এবং হাজারো ফেসবুক পোস্টে সতর্কতা লেবেল সংযুক্ত করা হয়েছে।

কিন্তু সমালোচক সংগঠন সেন্টার ফর কাউন্টারিং ডিজিটাল ডাটা হেইট জানিয়েছে সামাজিক মাধ্যমে এরকম তথ্যের শতকরা ৯৫ ভাগই থেকে যায় এবং বিরাট সংখ্যক মানুষের কাছে পৌছায়।

এই উদ্যোগের আরেকটি বড় চ্যালেঞ্জ হলো ভুয়া তথ্যের ধারণা নিয়ে ভিন্ন ধারার তিনটি মাধ্যম কিভাবে একক একটি ফ্রেমওয়ার্কে সম্মত হয় সেটি। অন্যদিকে রাজনীতিবীদরাও এই ব্যাপারটি নিয়ে চঞ্চল হয়ে উঠছেন-যুক্তরাজ্যে লেবার পার্টি করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে ভুয়া তথ্য প্রতিরোধে জরুরী আইন পাশের আহবান জানিয়েছে।

Full Fact জানিয়েছে এই উদ্যোগের মূলনীতি হবে সমন্বয় ও মানুষের কাছে নির্ভরযোগ্য তথ্য পৌছে দেয়া।  

সংগঠনটির প্রধান নির্বাহী উইল ময় বলেন, ”অপপ্রচার মানুষের জীবন ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং আমাদের সবার উচিত যখনই কোথাও এরকম কিছু দেখবো তখনই তা প্রতিহত করা। কোভিড অতিমারি ও এই সময়ে ভুয়া তথ্যের ছড়াছড়ি এই অপচেষ্টা মোকাবেলায় আমাদের সমন্বিত প্রচেষ্টার প্রয়োজনীয়তা চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়েছে।”

ফেসবুক জানিয়েছে মিসিনফরমেশন মোকাবেলায় সমন্বিত আলোচনা ও কাঠামো তৈরীর এই প্রচেষ্টাকে তারা স্বাগত জানায়। 

বিবিসি অবলম্বনে


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *