
কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন অনুমোদন পাওয়ার পরও এখনো ট্রায়াল চলছে যে কারণে
Author: BD FactCheck Published: February 13, 2021, 4:00 am | Updated: February 13, 2021, 5:54 pm
সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা একটি প্রশ্ন তুলছেন যে করোনা ভ্যাকসিনকে নিরাপদ ও কার্যকর বিবেচনা করে অনুমোদন দেওয়ার পরও কেন ভ্যাকসিনের ট্রায়াল চালানো হচ্ছে। বিভিন্ন ফেসবুক পোস্টে লেখা হচ্ছে, “কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের এখনো ট্রায়াল চলছে৷ তাহলে যারা ভ্যাকসিন নিচ্ছেন তাদের কি হবে?”
এমন কিছু পোস্ট দেখুন এখানে, এখানে।
ফেসবুক পোস্টগুলোর দাবি অনুযায়ী এটা সত্য যে ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারী পর্যন্ত সময়কে ফাইজার-বায়োএনটেক তাদের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের চূড়ান্ত সময়সীমা হিসেবে উল্লেখ করেছে। মর্ডানা কর্তৃক তৈরীকৃত ভ্যাকসিনের ট্রায়াল শেষ হওয়ার সম্ভাব্য তারিখ ২০২২ সালের ২৭ অক্টোবর।
কিন্তু কোন ভ্যাকসিন অনুমোদন পাওয়ার পরও তা মানব দেহের জন্য নিরাপদ কি না সেই পরীক্ষা চালিয়ে যাওয়া নতুন কিছু নয়, বরং সার্বজনীন একটি গ্রহণযোগ্য চর্চা।
তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষে ফাইজার-বায়োএনটেক ভ্যাকসিন বিশ্বের নানান দেশে প্রয়োগ করা হচ্ছে ৷
ফাইজারের ঘোষণা অনুযায়ী কোম্পানীটি ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ ও ট্রায়ালের তৃতীয় ধাপ যথারীতি অব্যাহত রাখবে।
অর্থাৎ ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার পরও ভ্যাকসিন গ্রহীতাদেরকে আরো দুই বছর দীর্ঘ মেয়াদে এর নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা পরিমাপ করার জন্য পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।
কিভাবে ভ্যাকসিন পরিক্ষা, লাইসেন্স বা নিরাপদ কিনা যাচাই করা হয় জানতে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ভ্যাকসিন নলেজ প্রজেক্ট দেখুন এখানে।
ভ্যাকসিন নিরাপদ কিনা এটা পর্যবেক্ষনের জন্য গবেষকদের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের সরকারের আলাদা প্রতিনিধি দল থাকে ৷ যেমন ইউকে-তে ইওলো কার্ড স্কিম এবং যুক্তরাষ্ট্রে ভেরস এই কাজ করে।
যত দ্রুত সম্ভব করোনা ভ্যাকসিন তৈরীর জন্য প্রয়োজনীয় যোগান দিতে সমগ্র বিশ্বে একটি সামগ্রিক প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল।
তার উপর অভূতপূর্ব আর্থিক বিনিয়োগ এবং যৌথ বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টা এই গবেষণা ও সফল ভ্যাকসিন তৈরীর পথকে আরো ত্বরান্বিত করেছে।
উল্লেখ্য, নিরাপত্তা ও কার্যকারিতা যাচাই করার জন্য একই সময়ে কয়েকটি ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল করা হচ্ছে, কিন্তু এই দ্রুততা সত্ত্বেও ক্লিনিক্যাল ও সেফটি স্ট্যান্ডার্ড ঠিকই মেনে চলা হচ্ছে।
সুতরাং ফেসবুক পোস্টে করা দাবিগুলো সত্য নয়।
রয়টার্স অবলম্বনে