ফিচারড নিউজ

অসত্য

ফিচারড নিউজ

July 6, 2020, 11:54 am

Updated: July 6, 2020, 11:56 am

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চ মসজিদে হামলাকারী ট্যারেন্টের বিরুদ্ধে কি ফাঁসির রায় হয়েছে?

Author: Zahed Arman Published: July 6, 2020, 11:54 am | Updated: July 6, 2020, 11:56 am

যা দাবি করা হচ্ছে: 

“নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে অর্ধশত মুসল্লি হত্যা মামলার আসামি শ্বেতাঙ্গ আধিপত্যবাদী ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে আগামী ২৪ আগস্ট মৃত্যুদণ্ড দেয়া হবে।”

যেভাবে ছড়াচ্ছে:

বাংলাদেশের কিছু অনলাইন গণমাধ্যম এবং ফেসবুকে ছড়ানো হচ্ছে, “অবশেষে ট্যারেন্টের ফাঁসির রায় ঘোষণা করা হয়েছে আর তা কার্যকর হবে শহিদদের পরিবারের উপস্থিতিতে।”

ওই সংবাদে আরও দাবি করা হচ্ছে, “নিউজিল্যান্ডের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক ক্যামেরন ম্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলায় অভিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান নাগরিক খ্রিস্টান এই সন্ত্রাসী ব্রেন্টন ট্যারেন্টকে মৃত্যুদণ্ডের রায় শুনিয়ে ফাঁসি কার্যকরের জন্য ২৪ আগস্ট তারিখ ধার্য করেছেন।”

কিন্তু বিডি ফ্যাক্টচেক-এর অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, ব্রেন্টন ট্যারেন্টের ফাসির রায় ঘােষণা করা হয়নি। আগামী ২৪ অগাস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া আদালতে তার বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার কথা বলা হয়েছে মাত্র। রায়ে কী ধরণের শাস্তি হতে পারে তা বলা হয়নি।

ফ্যাক্টচেক:

আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরার খবরে বলা হচ্ছে, আগামী ২৪ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের আদালতে ২০১৯ সালের ক্রাইস্টচার্চ এলাকার মসজিদে হামলার জন্য অভিযুক্ত ব্রেন্টন ট্যারেন্টের বিচারের রায় ঘোষণা করা হবে। নিউজিল্যান্ড হাইকোর্টের বিচারপতি ক্যামেরন মান্ডার রায় ঘোষণার তারিখ ঘোষণা করেন। 

পৃথিবীতে যেকয়টি দেশে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ড নিষিদ্ধ তার মধ্যে নিউজিল্যান্ড অন্যতম। দেশটিতে সর্বশেষ ১৯৫৭ সালে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছিলো। ১৯৬০ সালে ন্যাশনাল পার্টি যখন ক্ষমতায় আসে তখন সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ড দেওয়া নিয়ে বেশ মতবিরোধ ছিলো।  ১৯৬১ সালে এটি নিয়ে পার্লামেন্টে ভোটাভোটি হয় এবং ৪১ জনের মধ্যে ৩০জনই মৃত্যুদন্ড বাতিল করার পক্ষে তাদের মতামত দেয়। ফলে ক্রাইম অ্যাক্ট থেকে সর্বোচ্চ শাস্তি হিসেবে মৃত্যুদন্ড রহিত হয়ে যায়। যদিও ১৯৮৯ সালে মৃত্যুদণ্ড আইন বাতিল হওয়ার আগ পর্যন্ত শুধু রাষ্ট্রদ্রোহিতার জন্য মৃত্যুদণ্ড কার্যকর ছিল (নিউজিল্যান্ড হিস্টোরি )। 

নিউজ উইক জানাচ্ছে, সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে নিউজিল্যান্ডে সর্বোচ্চ শাস্তি হয় উইলিয়াম বেল নামক এক ব্যক্তির। ২০০১ সালে অকল্যান্ডে তিনজনকে খুনের দায়ে তার এই ত্রিশ বছরের সাজা হয়। এটিই সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে নিউজিল্যান্ডে সর্বোচ্চ শাস্তির ঘটনা।

ব্রেন্টন  ট্যারেন্টের বিরুদ্ধে ৫১ টি খুন, ৪০টি হত্যাচেষ্টা এবং একটি সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে। গত মার্চ মাসে ব্রেন্টন ট্যারেন্ট তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ স্বীকার করে নেন। অস্ট্রেলিয়ার গণমাধ্যম কোরিয়ার-সান ধারণা করছে ট্যারেন্টের সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে। 

তথ্যসূত্র:

নিউজিল্যান্ড হিস্টোরি

আল জাজিরা

নিউজ উইক

কোরিয়ার-সান

গুগল

সিদ্ধান্ত: 

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে হামলা চালিয়ে অর্ধশত মুসল্লি হত্যা মামলার আসামি ব্রেন্টন ট্যারেন্টের বিচারের রায় আগামী ২৪ আগস্ট থেকে শুরু হতে যাওয়া আদালতে ঘোষণা করা কবে।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *