প্রক্রিয়া

বিডি ফ্যাক্ট চেক পাচঁটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে ফ্যাক্ট চেক করে থাকে। এগুলো হচ্ছে ফ্যাক্ট নির্বাচন, গবেষণা, লিখন, সম্পাদনা, এবং সংশোধন।

১. ফ্যাক্ট নির্বাচন:

বিডি ফ্যাক্ট চেক যেকোন বিষয়ের উপর ফ্যাক্ট অনুসন্ধান করে না। সংস্থাটি শুধু সেসব বিষয়ের ফ্যক্ট চেক করে যেগুলোর সমাজে ব্যাপক প্রভাব আছে। কোন রাজনৈতিক ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য যা প্রেস রিলিজ, বিজ্ঞাপন কিংবা সংবাদ প্রতিবেদনের মধ্যদিয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয় শুধু সেগুলোর ফ্যাক্ট চেক করে থাকে বিডি ফ্যাক্ট চেক। সংস্থাটি কোন অনুমান কিংবা তথ্যসূত্রবিহীন কোন বক্তব্যের ফ্যক্ট চেক করে না। বিডি ফ্যাক্ট চেক যেসব সূত্র থেকে ফ্যাক্ট চেকের বিষয় ঠিক করে সেগুলো হচ্ছে: বিজ্ঞাপন প্রেস রিলিজ সংবাদ ওয়েবসাইট টেলিভিশন টকশো ব্যক্তি কিংবা রাজনৈতিক দলের ফেসবুক, টুইটার একাউন্ট জনসভার বক্তব্য পাঠকের প্রশ্ন

২. গবেষণা:

বিডি ফ্যক্ট চেক বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমের মধ্য দিয়ে গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে থাকে। যদি কোন বক্তব্য সংস্থাটির কাছে মিথ্যা, প্রতারণাপূর্ণ, কিংবা ভূয়া বলে মনে হয় তখনই তারা এর ফ্যক্ট চেক করে থাকে। গবেষণার মধ্য দিয়ে যে সমস্ত বিষয়ের উপযুক্ত প্রমাণ সংস্থাটির হাতে থাকে সেগুলোকেই প্রতিবেদন আকারে প্রকাশ করা হয়। বিডি ফ্যাক্ট চেক তথ্য সংগ্রহের জন্য সবসময় প্রাথমিক তথ্যসূত্রের উপর নির্ভর করে। এছাড়া কোন প্রতিবেদনের ব্যাখ্যাদানের জন্য সংস্থাটি সবসময় দল-মত নিরপেক্ষ বিশেষজ্ঞের সাক্ষাৎকার নেয়।

৩. লিখন:

বিডি ফ্যাক্ট চেক প্রতিবেদন তৈরিতে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করে থাকে। এব্যাপারে সংস্থাটির নিজস্ব নিয়মাবলী রয়েছে। সেগুলো হচ্ছে: ক. প্রতিবেদনে কোন ব্যক্তি বিশেষ কিংবা প্রতিষ্ঠানকে আক্রমণ করা হবে না। শুধু তথ্যের ফ্যাক্ট যাচাই করা হবে। খ. প্রতিবেদনে বিডি ফ্যাক্ট চেকের কোনো নিজস্ব মতামত থাকবে না। শুধু ফ্যাক্টটা উপস্থাপন করবে। গ. বিডি ফ্যাক্ট চেক প্রতিবেদনে বিভিন্ন শব্দের ব্যবহারে জেন্ডার সংবেদনশীল থাকবে। ঘ. বিডি ফ্যাক্ট চেক মতাদর্শিকভাবে কারো মুখাপেক্ষী নয়। প্রতিবেদনেও তা রক্ষা করা হবে। ঙ. বিডি ফ্যাক্ট চেক ইন্টারন্যাশনাল ফ্যাক্ট-চেকিং নেটওয়ার্ক প্রণীত ফ্যাক্ট চেকার্স কোড অব প্রিন্সিপালস্ এর প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রতিবেদনেও তা রক্ষা করা হবে।

৪. সম্পাদনা:

বিডি ফ্যাক্ট চেকের প্রতিটি প্রতিবেদন সম্পাদনার টেবিল হয়ে প্রকাশিত হবে। সংস্থাটির সম্পাদক প্রতিবেদন সম্পাদনা করবেন। প্রতিবেদন সম্পাদনায় “ক্লোজ অবজারভেশন” পদ্ধতি অবলম্বন করা হবে।

৫. সংশোধন:

প্রতিবেদন প্রকাশের পর যদি দেখা যায় কোন তথ্যে ভুল আছে তাহলে তা সংস্থাটির নিয়মানুযায়ী সংশোধন করা হয়। বিডি ফ্যাক্ট চেকের প্রতিবেদনে উপস্থাপিত কোন তথ্যের গ্রহণযোগ্যতা সম্পর্কে যদি কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান উপযুক্ত প্রমাণ দিতে পারে তাহলে তা সংশোধন করা হয়। পাঠক চাইলে কোন তথ্য সম্পর্কে উপযুক্ত প্রমাণাদি দিয়ে ভুল সংশোধন করতে পারেন। এজন্য “যুক্ত হোন” অপশনে গিয়ে সংস্থাটির কাছে লিখতে পারেন অথবা সরাসরি “যোগাযোগ” করতে পারেন।