
ভ্যাক্সিন-বিরোধী বিজ্ঞাপন ব্যান করবে ফেসবুক
Author: BD FactCheck Published: October 18, 2020, 11:40 pm | Updated: October 27, 2020, 9:13 pm
সাম্প্রতিক সময়ে করোনাভাইরাস পুরো দুনিয়াকে অস্থির করে ফেলেছে। এই মহামারী কালীন সময়ে ফেইক নিউজের উপদ্রবও বেশ চোখে পড়ার মত। এই সংকটকালীন অবস্থায় নাগরিকদের মানসিক অবস্থাকে আরো বিপর্যয়পূর্ণ করে তুলছে এসব গুজব। গুজবের পরিমাণ এত বেশি যে, অনেকে তা বিশ্বাসও করছেন।
এদের মধ্যে ফেসবুক, ইউটিউব এবং স্ন্যাপচ্যাটে বেশিরভাগ লোক ফেইক নিউজ শেয়ার করেন বলে ফেইক নিউজের অন্যতম উৎসগুলোও এসব।
এসবের মাঝে গত সপ্তাহে ফেসবুক তাদের নতুন পলিসি ঘোষণা করেছে যেখানে বলা হয়েছে, করোনাভাইরাসের ভ্যাক্সিন বিরোধী যেকোন বিজ্ঞাপন তারা ব্যান করবে। এছাড়াও যেসব বিজ্ঞাপন ফেসবুক ব্যবহারকারীদের ভ্যাক্সিন-বিরোধী মানসিকতা তৈরি করতে পারে সেসবও ব্যান করবে বলে জানায় ফেসবুক। এছাড়া ফেসবুক ইতিপূর্বেই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কর্তৃক চিহ্নিত ভুয়া করোনা ভ্যাক্সিনগুলোর বিভিন্ন বিজ্ঞাপন ব্যান করে।
গত ১৩ অক্টোবর ফেসবুকের স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রধান কাং-জিং জিন বলেন, ভ্যাক্সিন-বিরোধী অথবা ভ্যাক্সিনের প্রতি মানুষকে নিরাশ করতে পারে এমন বিজ্ঞাপন ফেসবুক ব্যান করতে পারে। ফেসবুকের প্রডাক্ট ম্যানেজমেন্টের পরিচালক রব লেথার্ন উক্ত পলিসির কথা নিশ্চিত করেন।
সাম্প্রতিক সময়ে ফেসবুকের অনেক নীতিতে এরকম পরিবর্তন এসেছে এবং অনেক কিছুই নানাভাবে ব্যান করা হচ্ছে সেখানে। এর পেছনে মূল কারণ হল যেকোন সমস্যাক্রান্ত কন্টেন্টকে এড়িয়ে যাওয়ার নীতি। তাই নির্বাচনী নানা বিজ্ঞাপন ব্যান করা ছাড়াও হলোকাস্ট সংক্রান্ত যেকোন কন্টেন্টের ব্যাপারেও নতুন নীতি ঘোষণা করে ফেসবুক। তবে এসবই করা হচ্ছে ফেসবুকে বিরাজমান গুজবকে প্রতিরোধ করতে।
এছাড়াও কোন কনটেন্ট উক্ত দেশের সরকারি নীতির বিরুদ্ধে যাওয়ার পাশাপাশি যদি ভ্যাক্সিনের ব্যাপারে নিরাশজনক কিছু প্রকাশ করে, তাহলে সেই কন্টেন্ট সরিয়ে নেয়া হবে। উপরন্তু যেকোনো বিজ্ঞাপন যদি ভ্যাক্সিনে ক্ষতিকর উপাদান থাকা সংক্রান্ত ভুয়া তথ্য দেয়, তাহলে সেটিকেও আমলে নিবে ফেসবুক
এছাড়াও ফেসবুক ভ্যাক্সিন সংক্রান্ত নানান তথ্য ফেসবুক এর ফিডে প্রতিদিন আপডেট করার সিদ্ধান্তে পৌছেছে। এ ব্যাপারে তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
ওয়াশিংটনের একটি সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভ্যাক্সিন বিশেষজ্ঞ কলিনা কলতাই জানান, ফেসবুকের এই সিদ্ধান্ত বেশ ভাল কিন্তু সিদ্ধান্তটি নেয়া হল একটু দেরিতে। ইতিমধ্যে অনেক গুজব মানুষ বিশ্বাসযোগ্য হিসেবে গ্রহণ করে ফেলেছে। কিন্তু ক্ষতি হয়ে যাওয়ার পরেও ফেসবুকের এমন পদক্ষেপ বেশ ভাল হয়েছে কেননা এখনো অনেক পেইজ-প্রোফাইল থেকে ফেইক নিউজ ছড়াচ্ছে।