
“মাইল্ড করোনা” কি করোনাভাইরাসের একটি প্রকরণ?
Author: Zahed Arman Published: June 7, 2020, 6:54 am | Updated: June 7, 2020, 6:56 am
যা দাবি করা হচ্ছে:
“প্রায় ৬ ধরনের করোনার মধ্যে “মাইল্ড করোনা” হচ্ছে সবচেয়ে দুর্বল করোনা।”
যেভাবে ছড়াচ্ছে:
গত তিন জুন বাংলাদেশের একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী দাবি করেন “মাইল্ড করোনা” হচ্ছে করোনাভাইরাসের ছয়টি প্রকরণের মধ্যে একটি। সেখান থেকে পোস্টটি ছড়িয়ে পড়ে।
বিডি ফ্যাক্টচেক-এর অনুসন্ধানে দেখা যাচ্ছে, মানুষের শরীরকে আক্রান্ত করতে পারে এমন করোনাভাইরাসের প্রকরণ ৭টি। “মাইল্ড করোনা” নামক করোনাভাইরাসের কোনো প্রকরণ নাই। তবে, কভিড-১৯ এর হালকা লক্ষন যেগুলো আপনাআপনি ভালো হয়ে যায় সেগুলোকে “মাইল্ড সিম্পটম” বা “হালকা লক্ষণ” বলা হয়।

ফ্যাক্টচেক:
মাইল্ড করোনা বলতে কোনো করোনা ভাইরাস নাই। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন সাত ধরণের করোনাভাইরাসের কথা বলছে যেগুলো মানুষকে আক্রান্ত করতে পারে। এগুলো হচ্ছে:
১. ২২৯ই
২. এনএল৬৩
৩. ওসি৪৩
৪. এইচকেইউআই
৫. মার্স করোনাভাইরাস
৬. সার্স করোনাভাইরাস
৭. সার্স করোনাভাইরাস-২
সার্স করোনাভাইরাস-২ জনিত রোগকে “কভিড-১৯” কিংবা “করোনাভাইরাস ডিজিজ-১৯” বলা হয়। গত ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সার্স করোনাভাইরাস-২ জনিত রোগের এই নামকরণ করে।
তবে “কভিড-১৯” জনিত যে লক্ষণগুলো আপনাআপনি ভালো হয়ে যায় সেগুলোকে “মাইল্ড সিম্পটম” কিংবা “হালকা লক্ষণ” বলা হয়। অনলাইন স্বাস্থ্যবিষয়ক তথ্যের প্রতিষ্ঠান ওয়েবএমডি’র মতে, প্রতি ছয় জনের মধ্যে পাঁচজনেরই কভিড-১৯ এর হালকা লক্ষণ দেখা যায় যা আপনাআপনি ভালো হয়ে যায়।
তথ্যসূত্র:
১. সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এন্ড প্রিভেনশন
২. ওয়েব এমডি
৩. গুগল সার্চ
৪. ফেসবুক
সিদ্ধান্ত:
“মাইল্ড করোনা” করোনাভাইরাসের প্রকরণ নয়। তবে করোনাভাইরাসজনিত রোগ-১৯ এর হালকা লক্ষণগুলোকে “মাইল্ড সিম্পটম” বলা হয়।