
মায়া ক্যালেন্ডারের হিসাব অনুযায়ী, আজ ২১শে জুন কি পৃথিবীর শেষ দিন ?
Author: BDFactCheck Admin Published: June 21, 2020, 1:02 am | Updated: June 26, 2020, 10:23 pm
জহিরুল ইসলাম
আজ ২১শে জুন পৃথিবী ধ্বংস হবে –এমন একটা গুজব ঘোরাফেরা করছে অনলাইনে। গুজবের ভিত্তি হল মায়া ( Mayan) সভ্যতার একটা প্রাচীন ক্যালেন্ডার। সেই ক্যালেন্ডারে ২০১২ সালের ২১শে ডিসেম্বরের পরে আর কোনো দিন ছিল না। ওটাই ছিল ক্যালেন্ডারের শেষ দিন । এ কারনে অনেকে দাবি করছিলেন, ওই দিনের পরেই ধ্বংস হবে পৃথিবী।
তবে তেমন কিছুই ঘটেনি। আমরা, পৃথিবীবাসী বহাল তবিয়তে ২০১২ এর পরেও বেঁচে আছি । এখন নতুন এক দাবি উঠছে, মায়ানদের ওই ক্যালেন্ডারের গননা নাকি ভুল ছিল। মায়ানদের ক্যালেন্ডারে লাস্ট দিন হিসাবে যে দিনের কথা বলেছিল, সেটা আসলে বর্তমানে প্রচলিত ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ২০২০ সালের ২১শে জুন।
যেহেতু ২১শে জুনের পরে আর কোনো দিনের কথা মায়ানরা লিখেনি, এবং মায়ানরা যেহেতু অনেক উন্নত সভ্যতা ছিল, তাই তারা হয়তো কোনোভাবে জানতে পেরেছিল যে এই দিনেই পৃথিবী ধংস হবে। এ কারনে তারা ক্যালেন্ডারটা ওভাবেই রেখে দিয়েছে–এমনটাই বলা হচ্ছে গুজবে।
এক.
বাংলাদেশের দৈনিক ইনকিলাবে এই সংক্রান্ত সংবাদ ছাপা হয়েছে। তারা লিখেছে,
”দাবি করা হয়েছিল, মায়া ক্যালেন্ডারের হিসাব অনুযায়ী ২০১২ সালে ২১ ডিসেম্বর ধ্বংস হয়ে যাবে পৃথিবী! এটি নিয়ে তোলপাড় হয়ে গিয়েছিল গোটা বিশ্ব।… কিন্তু ৮ বছর পরে গবেষকরা নিজেদের হিসাবের একটি ভুল খুঁজে বের করেছেন। আর সেই ভুল বলছে, মায়া ক্যালেন্ডার অনুযায়ী আমরা এখন যে সালে আছি, সেটাই ২০১২। … বিজ্ঞানী পাওলো তাগালোগিউনের মতে, হিসাব থেকে বাদ যাওয়া দিনগুলো যোগ করলে মায়া সভ্যতায় নির্ধারিত, পৃথিবীর শেষ দিন হল ২০২০ সালের ২১ জুন”।
ভারতের জি নিউজের ১৯ তারিখের রিপোর্টে বলা হচ্ছে, “Scientist Paolo Tagaloguin, in a now-deleted tweet, reportedly said, “Following the Julian Calendar, we are technically in 2012. The number of days lost in a year due to the shift into Gregorian Calendar is 11 days. For 268 years using the Gregorian Calendar (1752-2020) times 11 days = 2,948 days. 2,948 days / 365 days (per year) = 8 years.” [https://bit.ly/37Ki2Pg]
আরো অনেকগুলো দেশি বিদেশি সংবাদমাধ্যম এটা নিয়ে রিপোর্ট ছেপেছে:
দুই.
এসব প্রতিবেদনে ৮ বছরের যে হিসাব দেখান হচ্ছে, সেখানে বেশ কিছু ভুল পাওয়া যাচ্ছে।
প্রথমত, ২৯৪৮ দিনে হয় ৮ বছর ২৮ দিন । ২০১২ এর ২১শে ডিসেম্বর এর সাথে ৮ বছর ২৮ দিন যোগ করলে হয় ২০২১ এর ১৮ই জানুয়ারি । ২০২০ এর ২১শে জুনের সাথে ২১শে ডিসেম্বর ২০১২ এর দূরত্ব হল ২৭৩৯ দিন । ২৯৪৮ দিন থেকে সেটা ২০৯ দিন কম ( খাতা কলমে দিনের হিসাব বের করা যায় । আবার এই ওয়েবসাইট থেকে দুইটা তারিখের মধ্যবর্তী সময় হিসাব করা যায়।https://www.timeanddate.com/date/durationresult.html)
দ্বিতীয়ত, জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে ৩৫৪ দিনে এক বছর হয় না। ওই ক্যালেন্ডারেও ৩৬৫ দিনেই এক বছর হত। প্রতি ৪ বছর পর পর লিপ ইয়ার হত। কোনো ব্যতিক্রম হত না। অর্থাৎ সেখানে এক বছর = ৩৬৫ দিন ৬ ঘন্টা ধরা হত। তবে পৃথিবী প্রকৃতপক্ষে সূর্যের চারদিকে আবর্তন করে ৩৬৫ দিন ৫ ঘন্টা ৪৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে। অর্থাৎ, পুরাপুরি ৬ ঘন্টা নয়, একটু কম। এই কম হওয়া সময় পুষিয়ে নেওয়ার জন্য গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার প্রবর্তন করা হয় ১৫৮২ সালে ইটালিতে (ইংল্যান্ডে চালু হয় ১৭৫২ সালে)। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১ বছরে ৩৬৫ দিন। প্রতি ৪ বছরে ৩৬৬ দিন, মানে লিপ ইয়ার। তবে ব্যতিক্রম আছে। প্রতি ১০০ তম বছরে কোন লিপ ইয়ার হবেনা, ৩৬৫ দিনেই বছর শেষ হবে । আবার প্রতি ৪০০ তম বছরের লিপ ইয়ারটা ৩৬৬ দিনেই হবে । মানে ১৮৯৬ লিপ ইয়ার, ১৯০৪ লিপ ইয়ার ,কিন্তু ১৯০০ লিপ ইয়ার না। আবার ১৯০০ বা ২১০০ লিপ ইয়ার নয়, কিন্তু ২০০০ বা ২৪০০ লিপ ইয়ার। জুলিয়ান ক্যালেন্ডার চলতেছে ৪৬ খৃষ্টপূর্বাব্দ থেকে। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার চলতেছে ১৫৮২ সাল থেকে। ফলে জুলিয়ান আর গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে পার্থক্য হবে ১৪ দিন । প্রতি ১০০ বছরে একটা করে লিপইয়ার ধরে ২০ দিন এক্সট্রা , সেখান থেকে বাদ যাবে ৬ দিন (০ ,৪০০,৮০০,১২০০,১৬০০,২০০০ সাল) মোট ১৪ দিন।
তৃতীয়ত, ১১ দিন করে যে দিনের গ্যাপ হিসাব করা হয়েছে, সেইরকম গ্যাপ আসলে পাওয়া যায় হিজরি ক্যালেন্ডারের সাথে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারর তুলনায়। আরবি ক্যালেন্ডারে (বা চন্দ্র ভিত্তিক যে কোনো লুনার ক্যালেন্ডারে) এক বছরে ৩৫৪ দিন । এ কারনে প্রতি বছর রোজা বা ইদ ১১ দিন এগিয়ে আসে। কিন্তু গ্রেগতিয়ান আর জুলিয়ান ক্যালেন্ডারে ১১ দিনের হিসাব আনার কোনো দরকার নেই
সুতরাং, ২০২০ এর ২১শে জুন কোনোভাবেই ২০১২ এর এর ২১শে ডিসেম্বর নয়। বিস্তারিত জানতে দেখুন –
জুলিয়ান ক্যালেন্ডার –https://bit.ly/2YgpWN
গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার- https://bit.ly/2BsT76Y
লিপ ইয়ারের হিসাব –https://roar.media/bangla/main/history/history-of-calender/

তিন.
মায়ান ক্যালেন্ডারে কি আসলে পৃথিবী ধ্বংসের ভবিষ্যতবাণী ছিল ?
মায়ান লং কাউন্ট ক্যালেন্ডারের সর্বোচ্চ এককের নাম বাকতুন। এই হিসেব অনুযায়ী তাদের গণনার সময়কাল শুরু হয় ০.০.০.০.০ তারিখ থেকে। গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী যে তারিখটি ছিল খ্রিস্টপূর্ব ১১ই আগস্ট, ৩১১৪ সাল। প্রতিটি বাকতুনের দৈর্ঘ্য হয় ১,৪৪,০০০ দিন তথা প্রায় ৩৯৪ বছর। মায়ানরা বিশ্বাস করত, প্রতিটি বাকতুনের শেষে নতুন বাকতুন শুরু হওয়ার দিন, ক্যালেন্ডার নিয়ন্ত্রণকারী দেবতা পৃথিবীতে হাজির হতেন এবং নতুন বাকতুনের যুগ করে দিয়ে যেতেন। তাদের কাছে এই দিনটি ছিল একটি উৎসবের দিন।
সর্বশেষ যে বাকতুনটির উল্লেখ মায়ান ক্যালেন্ডাগুলোতে পাওয়া যায়, তা ছিল ১২তম বাকতুন। এর পরবর্তী কোনো বাকতুনের কথা কোথাও উল্লেখ নেই। সে থেকেই অনেকে ধারণা করে, যেহেতু এর পরের কোনো তারিখের পদ্ধতি ক্যালেন্ডারে নেই, তাই নিশ্চয়ই মায়ানদের বিশ্বাস অনুযায়ী এই দিনটিই হবে পৃথিবী ধ্বংসের দিন। মায়ান ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১২ তম বাকতুন শেষ হয়ে ১৩.০.০.০.০ তারিখ হওয়ার কথা ছিল ২১শে ডিসেম্বর, ২০১২ সালে। তাই সেই দিনটিই বিশ্ব ধ্বংসের দিন হিসেবে ব্যাপক প্রচার পায়।
ব্যাপারটাকে আপনি বাংলাদেশের মোবাইল নাম্বারের সিরিজ ডিস্ট্রিবিউশনের সাথে তুলনা করতে পারেন।
একেবারে প্রথমে মোবাইলগুলার নাম্বার দেওয়া হল–০১৭-১২৩৪৫৬ এভাবে । এই প্রসেসে সর্বোচ্চ ১০ লাখ নাম্বার দেওয়া সম্ভব । ১০ লাখ কাস্টমার পূরন হয়ে গেলে তারা এক্সট্রা আরেকটা ডিজিট বাড়িয়ে নাম্বার দিল ০১৭-১-১২৩৪৫৬ এভাবে । এই প্রসেসে সর্বোচ্চ ১ কোটি সিম বিক্রি সম্ভব। এই ১ কোটি নাম্বার ও পূরন হয়ে গেলে তারা আরো এক ডিজিট বাড়ালা। ০১৭১-১-১২৩৪৫৬ এইভাবে নাম্বার বিক্তি করতে লাগল
বছরের ক্যালেন্ডারের কথা ধরেন । ১ থেকে ৯৯ সাল পর্যন্ত বছরগুলা ছিল দুই ডিজিট। এর পর বছর হল ৩ ডিজিটের। ১০০ থেকে ৯৯৯ পর্যন্ত বছর ছিল ৩ ডিজিটের। এর পর ১০০০ সালে এসে বছর লিখতে ৪ অংক দরকার হল। ১০০০ থেকে ৯৯৯৯ পর্যন্ত ৪ অংকই যথেষ্ট। কিন্তু ১০,০০০ সালে গিয়ে বছর লিখতে আবার ৫ অংক দরকার হবে ।
মায়ানদের সংখ্যা পদ্ধতি দশভিত্তিক ছিল না। সেটা বেসিকালি ২০ ভিত্তিক ছিল, তবে ব্যতিক্রম ও আছে। ২০১২ সালের ২১শে ডিসেম্বর গিয়ে তাদের ক্যালেন্ডারের সব কয়টা, মানে ৫ টা ডিজিটের ম্যাক্সিমাম পর্যায়ে পৌছে যাবে। (১৩.০.০.০.০ ) এর পরের দিনটা লেখার জন্য তাদের ৬ টা ডিজিট ব্যবহার করতে হত।
পরবর্তীতে সেই নতুন ডিজিটগুলো ডিস্কভার হয়েছে। মায়া বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, আসলে বাকতুনই শেষ একক না। লং কাউন্ট ক্যালেন্ডারের অংশ না হলেও পরবর্তীতে মায়ানদেরকে বাকতুনের চেয়েও বড় একক ব্যবহার করতে দেখা গেছে। এ হিসেব অনুযায়ী, ১ বাকতুন = ২০ কাতুন, ১ পিকতুন = ২০ বাকতুন, যা প্রায় ৭,৮৮৫ বছরের সমান। একইভাবে ১ কালাবতুন = ২০ পিকতুন (প্রায় ১,৫৮,০০০ বছর), ১ কিঞ্চিলতুন = ২০ কালাবতুন (প্রায় ৩১ লক্ষ বছর) এবং ১ আলাউতুন = ২০ কিঞ্চিলতুন, যার মান প্রায় ৬ কোটি ৩০ লক্ষ বছরের সমান। অর্থাৎ, মায়ান ক্যালেন্ডারের মেয়াদ আগামী ৬ কোটি বছরেও শেষ হবে না!
[https://roar.media/bangla/main/history/mayan-calendar/]
হলিউড অভিনেতা মর্গান ফ্রিম্যান এর উপস্থাপনায় The story of God নামে একটা টিভি সিরিয়াল আছে। এখানে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলের বর্তমানে প্রচলিত এবং বিলুপ্ত বিভিন্ন ধর্মের ইতিহাস, উৎপত্তিস্থল, গুরুত্বপূর্ন স্থাপনা, বিশেষজ্ঞদের সাক্ষাৎকার ইত্যাদি দেখানো হয়েছে। এই সিরিয়ালের সিজন ১ এপিসোড ২ তে মরগান ফ্রিম্যান গিয়েছিলেন মায়া সভ্যতার রাজধানী, বর্তমান গুয়াতেমালা তে। সেখানে দেখিয়েছেন মায়ানদের পাথর দিয়ে বানানো ক্যালেন্ডারটা । বিশেষজ্ঞদের সাথে কথা বলেছেন এই ভবিষ্যতবাণী নিয়েও। সেখানেও সবাই সিদ্ধান্ত পৌছেছেন, এই দিনে পৃথিবী ধ্বংসের কিছু নেই, বরং দিনটায় একটা নতুন সহস্রাব্দের সূচনা হবে। মায়া জাতি আজকেও বেচে থাকলে এই দিনে তারা একটা বিরাট উৎসব আয়োজন করত। [ এই অংশ টুকুর ভিডিও দেখতে পাবেন এই লিংকে –https://www.facebook.com/100004990757830/videos/1626950350814641 ]
চার.
তাহলে বোঝা গেল, নিউজপেপারগুলো সবাই কোন এক Paolo Tagaloguin এর টুইটারের উপর ভিত্তি করে রিপোর্ট করেছে। টুইটারে পাওলো টাবলোকুইন কে সার্চ করে একটি একাউন্ট https://twitter.com/paolotagaloguin পাওয়া গেল । একাউন্টটি জুন মাসেই খোলা হয়েছে। সম্ভবত এটি প্যারোডি একাউন্ট (মানে ফেক আইডি)। এই একাউন্টে ১৫ই জুন এর আগে কোনো টুইট নেই। ১৫ই জুনে প্রথম টুইট করা হয়েছে, “Mayan calendar was wrong and world will ‘end’ next week on June 21, warns conspiracy theorist…. ।” ১৫ই জুনের পরেই আরো কয়েকটা টুইটারে এই বিষয়ে বলা হয়েছে ।
নিউ ইয়র্ক পোস্ট ১৩ই জুন এই বিষয়ে রিপোর্ট ছাপিয়েছে। তারা মূল পাওলো টাবলকুইনের সাক্ষাতকার নিতে পেরেছে । পাওলোর পরিচয় সম্পর্কে বলা হয়েছে — “a master’s student in plant sciences” । সেখানে পাওলো জানিয়েছেন, আমি মজা করে ওই টুইট করেছিলাম। কিন্তু আমার সেই মজা পরে অনলাইনে ভাইরাল হল। অনেকে বিষয়টা সিরিয়াসলি নিল। ২১শে জুন পৃথিবী ধ্বংসের কথা বিশ্বাস করল। এ কারনে আমি টুইটটা ডিলিট করে ফেলেছি। ( … original tweet about it was written not to inform but as a pun to another tweet I quoted… I would like to emphasize that there is no truth to that tweet and so I deleted it.) [https://nypost.com/2020/06/13/reading-of-mayan-calendar-suggests-end-of-the-world-is-next-week/]
তার এই সাক্ষাতকারকে যদি সত্য ধরি, তাহলে, সম্ভবত তিনি বর্তমানে একাউন্ট ডিলিট/ ডিএক্টিভেট করে আছেন । তবে তার ডিলিট করা টুইট নিয়েই সবাই ফেসবুকে, টুইটারে গুজব ছড়াচ্ছে, নিউজ ছাপাচ্ছে ।
পাওলো কবে প্রথম টুইট করেছিলেন, জানা যায়নি। তার টুইটকে সত্য ধরে প্রথমবারের মত নিউজ করেছিল, সম্ভবত ইংল্যান্ডের পত্রিকা ডেইলি সান।
পরবর্তীতে অন্যান্য নিউজপেপারও গুজবটা এক এক করে ছাপাতে থাকে। অনেকে পাওলো টাবলোকুইন যে টুইট টা ডিলিট করেছেন, সেটা লিখেছেন। অনেকে আবার সেটা উল্লেখ করেননি ।
বাংলাদেশের পত্রিকাগুলো অনুবাদ করে প্রকাশ করার সময় অনেকে পাওলো টাবলুকিনের টুইটারের কথা উল্লেখ-ই করেনি । “বিশেষজ্ঞরা বলেছেন” কিংবা বিজ্ঞানিরা দাবি করেছেন” এভাবেই তারা লিখেছেন । এ কারনে গুজব ডালপালা ছড়িয়েছে ।
নিউজ মাধ্যমগুলো যদি নিউজটা ছাপানোর আগে একটু সচেতন হত, পাওলো টাবলোকুইনের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করত, মূল টুইট বা মূল নিউজের উৎস সন্ধান করত, তাহলেই এই ফেক নিউজটা এত ছড়াত না। সোশ্যাল মিডিয়ায় যারা নিউজটা ছড়াচ্ছেন, তারাও এই নিউজ শেয়ার করার আগে যদি একটু মাথা খাটিয়ে গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারের তারিখগুলা হিসাব নিকাশ করতেন, তাহলেই এই দাবিটার অন্তঃসারশূন্যতা উপলব্ধি করতে পারতেন নিশ্চয়ই।