
মিডিয়া ওয়াচ: একটি ফেসবুক পোস্টের ফ্যাক্ট চেক করতে গিয়ে যা মিললো
Author: BD FactCheck Published: December 18, 2020, 2:24 am | Updated: January 23, 2021, 3:01 am
গত ১৫ ডিসেম্বর সকাল থেকে ফেসবুকে একটি খবর বেশ ছড়াতে শুরু করে। খবরটি এরকম, “বিজ্ঞানীরা বলছেন যে কোন সময় বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে বাংলাদেশে। তাতে ঢাকায় ভয়াবহ ক্ষতির আশংকা রয়েছে এবং ঢাকায় প্রায় ৭২হাজার ভবন ধ্বংস হতে পারে। সূত্রঃ এনটিভি।”
বিভিন্ন ফেসবুক গ্রুপেই মূলত খবরটি শেয়ার করা হয়। এসব পোস্টে হাজারো মানুষ রিয়েকশন, মন্তব্য জানান। এরকম দুটি পোস্টের স্ক্রিনশট দেখুন নিচে–

মূলধারার সংবাদমাধ্যমে ওইদিন এই ধরনের কোনো খবর ছিলো না। ফলে বিডি ফ্যাক্টচেক আগ্রহী হয় যাচাই করে দেখতে যে, আদৌ এনটিভি এমন কোনো খবর প্রকাশ করেছে কিনা?
সাধারণত, “বিজ্ঞানীরা বলছেন” বলে সংবাদমাধ্যমে যেসব রিপোর্ট প্রকাশিত হয় সেগুলো কোনো না কোনো গবেষণার ফলাফলের ওপর নির্ভর করে তৈরি করা হয়ে থাকে। অতি সম্প্রতি, মানে দুয়েকদিনের মধ্যে এমন কোনো গবেষণার ফলাফল প্রকাশিত হয়ে থাকলে বাংলাদেশের মূলধারার একাধিক সংবাদমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হওয়ার কথা; কারণ ভূমিকম্প বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক। বিডি ফ্যাক্টচেক প্রতিদিন দেশের সংবাদমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ খবর এবং সামাজিক মাধ্যম আলোচিত ইস্যুগুলো মনিটর করে থাকে। ফলে তেমন কোনো খবর মূলধারার সংবাদমাধ্যমে গুরুত্ব পেলে তা চোখ এড়ানোর কথা না।
ইন্টারনেট সার্চ করে এনটিভির এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন পাওয়া গেলে যা ১৩ ডিসেম্বর সংবাদমাধ্যমটির ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশিত হয়। “দেশে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের” শিরোনামের প্রতিবেদনটি দেখুন নিচে–
একই রকম খবর সম্প্রতি আর কোথায় কোথায় এসেছে তা দেখতে এনটিভির প্রতিবেদনের শিরোনাম কপি-পেস্ট করে গুগল সার্চ দেয়া হয়। বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে বিজ্ঞানীদের এমন আশঙ্কা প্রকাশের খবর সাম্প্রতিক সময়ে কোথাও পাওয়া যায়নি। ‘সাম্প্রতি সময়’ গত কয়েক দিন, কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাসের মধ্যে প্রকাশিত হয়েছে এমন কোনো সার্চ রেজাল্ট পাওয়া যায়নি।
যা পাওয়া গেছে তা হলো প্রথম আলোতে ২০১৯ সালের ১৭ জুন “দেশে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা?” শিরোনামের প্রতিবেদন এবং একই পত্রিকায় ২০১৬ সালের ১৩ জুলাই “দেশে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা?” শিরোনামের দুটি আলাদা প্রতিবেদন।
রাইজিংবিডি নামে আরেকটি অনলাইন পোর্টালে “দেশে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা” শিরোনামের আরেক প্রতিবেদন পাওয়া গেছে যা ২০১৬ সালের ৪ জুলাই প্রকাশিত।
এরকম আরও কিছু শিরোনাম পেলেও সেগুলোর কোনোটিই গত কয়েকদিন, সপ্তাহ বা মাসের মধ্যে প্রকাশিত নয়।
এবার শোনা যাক এনটিভির ১৩ ডিসেম্বর ২০২০ এর রিপোর্টে কী বলা হয়েছে, কী তথ্য আছে?
এনটিভির রিপোর্টের ইন্ট্রো বা আইভি-তে (প্রেজন্টার যে অংশটুকু পড়েন) বলা হয়েছে–
“ভূ-তাত্ত্বিক অবস্থান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেকোনো সময় বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানবে বাংলাদেশে। তাতে ভয়াবহ ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রাজধানী ঢাকায়। কারণ এই শহরে ভবন নির্মাণসহ সার্বিকভাবে অবকাঠামো ব্যবস্থা বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞেরা জানান, সাড়ে ৭ মাত্রায় ভূমিকম্পে ঢাকার প্রায় ৭২ হাজার ভবন ধ্বংসস্তুপে পরিণত হবে। তাই আগে থেকেই শহরে পর্যাপ্ত ফাঁকা স্থান তৈরি, স্বেচ্ছাসেবকদের প্রশিক্ষণ ও মানুষকে সচেতন করার ওপর জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞেরা।”
৪ মিনিট ৬ সেকেন্ড দীর্ঘ প্যাকেজ রিপোর্টটিতে রিপোর্টার যে স্ক্রিপ্ট পড়েছেন তা হুবহু নিচে তুলে ধরা হচ্ছে–
//
ভূতত্ত্ব বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান এবং বার্মা- এই তিনটি গতিশীল টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। আর বিগত ১০০ বছরে এখানে বড় ধরনের ভূমিকম্প না হওয়ায় ভয়ংকর ভূমিকম্প সৃষ্টির মত অনেক বেশি শক্তি জমা হয়েছে দেশের ভূ-গঠনের দুই দিক থেকে। যার একটি হচ্ছে সিলেট অঞ্চলের ডাউকি ফল্টে। অন্যটি চিটাগং-ত্রিপুরা বেল্টের পাহাড়ি অঞ্চলে । সে হিসেবে দুইটা বড় ধরনের ভুমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ।
ঢাকায় ভুমিকম্প সৃষ্টির মত ভূতাত্ত্বিক অবস্থা না থাকলেও চট্টগ্রাম এবং সিলেটে শক্তিশালী মাত্রায় ভূমিকম্প হলে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এই রাজধানী। এর সব থেকে বড় কারণ অপরিকল্পিত নগরায়ন। যে কারণে ভুমিকম্পের ক্ষয়ক্ষতির বিবেচনায় বিশের ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি শহরের মধ্যে ২য় অবস্থান রয়েছে এই নগরী।
ঢাকার শাখারীবাজারে প্রায় ৩০০ বছরের পুরনো ঝুঁকিপূর্ণ এই ভবনটাতে বসবাস দেবী সরকারের ৪ পূর্বপুরুষ থেকে শুরু করে বর্তমান প্রজন্ম পর্যন্ত। সামান্য ভূমিকম্প হলেই আতংকে প্রহর কাটে তাদের ।
পুরানো বা নতুন- ঢাকার সব খানেই রয়েছে এমন হাজার হাজার ভবন যেগুলো ভূমিকম্পের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, দেশে বড় মাত্রায় ভূমিকম্প হলে ব্যাপক মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে ঢাকায়। কারণ সাড়ে সাত মাত্রায় ভূমিকম্পে ঢাকায় ৭২ হাজার ভবন ধসে পড়বে । যেখানে তৈরী হবে ৭ কোটি টন কংক্রিটের স্তুপ।
তবে ভয়ানক এই পরিস্থিতি মোকাবেলায় কতটা প্রস্তুত রাজধানী ঢাকা। আগে থেকেই পর্যাপ্ত পরিমাণ স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত, ভূমিকম্পের সময়ে করণীয় কী সে বিষয়ে রাজধানী ঢাকায় নিয়মিত মহড়াসহ সচেতনতামূলক নানা কর্মসুচি হাতে নেয়ার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের।
//
পুরো রিপোর্টের কোথাও রিপোর্টার এই তথ্য উল্লেখ করেন নি যে, বিজ্ঞানীরা কবে কোথায় এসব তথ্য দিয়েছেন; বিশেষ করে তারা কবে বলেছেন, “যেকোনো সময় বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানবে বাংলাদেশে”।
বিডি ফ্যাক্টচেক মিলিয়ে দেখেছে, বিবিসি বাংলায় ২০১৬ সালের ২২ এপ্রিল প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের তথ্যের সাথে মিল রয়েছে এনটিভির রিপোর্টটিতে উল্লিখিত তথ্যগুলোর। বিবিসি বাংলার ”দুটো বড় ধরনের ভূমিকম্প বাংলাদেশের দ্বারপ্রান্তে” শিরোনামের প্রতিবেদনটি পড়ুন এখানে।
মজার বিষয় হলো, শুধু তথ্য নয়, বরং বিবিসির রিপোর্টের কিছু বাক্য হুবহু এনটিভির রিপোর্টের স্ক্রিপ্টে তুলে দিয়েছেন রিপোর্টার। তেমন কয়েকটি বাক্য দেখুন–

##এনটিভির রিপোর্টের আইভি-এর প্রথম বাক্যটি হলো, “ভূ-তাত্ত্বিক অবস্থান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বলছেন, যেকোনো সময় বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানবে বাংলাদেশে।”
বিবিসির রিপোর্টের প্রথম বাক্যটি হলো, “বাংলাদেশের ভূ-তাত্ত্বিক অবস্থান বিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানীরা বলছেন যেকোনো সময় বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানবে।”
##এনটিভির রিপোর্টে রিপোর্টারের উচ্চারণ করা প্রথম বাক্যগুলো হলো, “ভূতত্ত্ব বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান এবং বার্মা- এই তিনটি গতিশীল টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থান করছে বাংলাদেশ। আর বিগত ১০০ বছরে এখানে বড় ধরনের ভূমিকম্প না হওয়ায় ভয়ংকর ভূমিকম্প সৃষ্টির মত অনেক বেশি শক্তি জমা হয়েছে দেশের ভূ-গঠনের দুই দিক থেকে। যার একটি হচ্ছে সিলেট অঞ্চলের ডাউকি ফল্টে। অন্যটি চিটাগং-ত্রিপুরা বেল্টের পাহাড়ি অঞ্চলে । সে হিসেবে দুইটা বড় ধরনের ভুমিকম্পের দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ।”
বিবিসির রিপোর্টে লেখা হয়েছে, “তার গবেষণা মডেল বলছে ইন্ডিয়ান, ইউরেশিয়ান এবং বার্মা তিনটি গতিশীল প্লেটের সংযোগস্থলে বাংলাদেশের অবস্থান। তিনি জানান, বাংলাদেশের দুই দিকের ভূ-গঠনে শক্তিশালী ভূমিকম্পের শক্তি জমা হয়েছে।” “একটা হচ্ছে উত্তরপূর্ব কোনে সিলেট অঞ্চলে ডাউকি ফল্টে, আরেকটা হচ্ছে আমাদের পূর্বে চিটাগাং ত্রিপুরা বেল্টে পাহাড়ি অঞ্চলে। এখানে আসলে দুইটা বড় ধরনের ভূমিকম্প আমাদের বাংলাদেশের দ্বারপ্রান্তে অবস্থান করছে।…”
##এনটিভির রিপোর্টারের ভয়েসে বলা হয়, “ঢাকায় ভুমিকম্প সৃষ্টির মত ভূতাত্ত্বিক অবস্থা না থাকলেও চট্টগ্রাম এবং সিলেটে শক্তিশালী মাত্রায় ভূমিকম্প হলে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এই রাজধানী।”
বিবিসির রিপোর্টে লেখা হয়েছে, “মিস্টার আখতার বলেন, ঢাকার মধ্যে বড় ভূমিকম্প সৃষ্টির মতো ভূতাত্ত্বিক অবস্থা না থাকলেও সিলেট এবং চট্টগ্রামে শক্তিশালী ভূমিকম্প হলে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে রাজধানী ঢাকা।”
##এনটিভির রিপোর্টারকে বলতে শোনা যায়, “গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, দেশে বড় মাত্রায় ভূমিকম্প হলে ব্যাপক মানবিক বিপর্যয়ের সৃষ্টি হবে ঢাকায়। কারণ সাড়ে সাত মাত্রায় ভূমিকম্পে ঢাকায় ৭২ হাজার ভবন ধসে পড়বে । যেখানে তৈরী হবে ৭ কোটি টন কনক্রিটের স্তুপ।”
এদিকে বিবিসির রিপোর্টে লেখা ২০১৬ সালে লেখা হয়েছে, “গবেষণায় দেখা যাচ্ছে ঢাকা মহানগরীতে বড় ভূমিকম্প ব্যাপক মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি করবে। … সিডিএমপির এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, সাড়ে সাত মাত্রার ভূমিকম্পে ঢাকার ৭২ হাজার ভবন ধসে পড়বে। যেখানে তৈরি হবে সাত কোটি টন কনক্রিটের স্তুপ।”
অর্থাৎ, এনটিভির রিপোর্টটি ২০১৬ সালে প্রকাশিত একটি গবেষণার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ওই বছর বিবিসি বাংলায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে তথ্য এবং টেক্সট কপি করে নিয়ে তৈরি করা। যদিও এনটিভির রিপোর্টার একবারের জন্যও বলেননি যে, গবেষণাটিতে উল্লিখিত তথ্যাদি ৫ বছর আগের। ফলে দর্শকের এটা ভেবে বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ আছে যে, গবেষণার ফলাফলটি অতি সম্প্রতি প্রকাশিত।
এনটিভির রিপোর্টে এ তথ্যও উল্লেখ করা হয়নি, গবেষকরা বাংলাদেশে “যেকোনো সময় বড় ধরনের ভূমিকম্প আঘাত হানবে” বলে ৫ বছর আগে যে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন সেই ভবিষ্যদ্বাণী মতে কোনো ‘বড় ধরনের ভূমিকম্প” ইতোমধ্যে হয়ে গেছে কিনা? নাকি সেই ভবিষ্যদ্বাণী এখনও বলবৎ আছে?
৫ বছর আগের একটি গবেষণায় পাওয়া তথ্য ৫ বছর পরের সংবাদ প্রতিবেদনে উল্লেখ করায় কোনো সমস্যা থাকার কথা নয় সাংবাদিকতার দৃষ্টিকোণ থেকে। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, ৫ বছর আগে মিডিয়াতে ফলাও করে প্রকাশিত গবেষণার ফলাফল দিনতারিখ উল্লেখ ছাড়াই “নতুন খবর আকারে” প্রকাশ করা হবে কেন? পুরনো প্রকাশিত তথ্যের সাথে নতুন কী তথ্য যুক্ত হয়েছে যার কারণে নতুন করে “দেশে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা বিজ্ঞানীদের” এমন শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে; যেই শিরোনামে একই তথ্য ৫ বছর আগেই প্রকাশিত হয়েছিলো? বিডি ফ্যাক্টচেকের পর্যবেক্ষণে এমন নতুন কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি এটিভির রিপোর্টে। বরং তা যে ৫ বছর আগের বিবিসির প্রতিবেদনের কপিপেস্ট ভিজ্যুয়াল ভার্সন তা উপরে তুলে ধরা হয়েছে।
প্রথম আলো-তে একই খবর ৩ বছরের ব্যবধানে একই শিরোনামে ২ বার প্রকাশ:
এনটিভির শিরোনামের খবরের সন্ধান করতে গিয়ে প্রথম আলোর একই শিরোনামের দুটি প্রতিবেদনের সন্ধান পাওয়া গেছে যা উপরেই বলা হয়েছে। লক্ষ্যণীয় বিষয় হলো, ২০১৬ সালের ১৩ জুলাই রয়টার্স এর বরাতে “দেশে বড় ভূমিকম্পের আশঙ্কা?” শিরোনামের যে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিলো প্রথম আলোতে, সেই প্রতিবেদনই আরও ৩ বছর পর ২০১৯ সালের ১৭ জুন একই শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছে। দুটো প্রতিবেদনেই বার্তা সংস্থা রয়টার্সের বরাত দেয়া। ভেতরের সব টেক্সট দুটো একই রকম থাকলেও দ্বিতীয় প্রতিবেদনে কয়েকটি প্যারা উপর-নিচ করা হয়েছে এবং একটি উপশিরোনাম যুক্ত করা হয়েছে শুধু। অর্থাৎ, যে রিপোর্ট ৩ বছর আগে যেই বরাতে প্রকাশিত হয়েছে, সেই একই বরাতে একই রিপোর্ট ৩ বছর আবার নতুন করে একই সংবাদমাধ্যমে পূনরোৎপাদিত হয়েছে কোনো ধরনের ব্যাখ্যা প্রদান ছাড়াই!
প্রথম আলোর ২০১৬ ও ২০১৯ সালের প্রকাশিত প্রতিবেদন দুটোর আর্কাইভ করা ভার্সন দেখুন এখানে ও এখানে।
দুটি রিপোর্ট পাশাপাশি দেখুন নিচের স্ক্রিনশটে–

জাজাকাল্লাহ, ভালো কাজ করছেন আপনারা। আশা করি আপনাদের কাজের ফলে দেশের এইসব সংবাদমাধ্যমের কিছুটা হলেও ঠিক হবে।
এটাতো খুবই বাজে ব্যাপার। আপনাদের ধন্যবাদ এগুলো ঘেঁটে দেখার জন্য।