কোনো ক্যাটাগরি নেই

কোনো ক্যাটাগরি নেই

November 28, 2020, 4:28 pm

Updated: December 5, 2020, 10:32 pm

যুক্তরাজ্য সরকার কি মনে করে কভিড-১৯ ভ্যাকসিন বিপজ্জনক হতে পারে?

Author: BD FactCheck Published: November 28, 2020, 4:28 pm | Updated: December 5, 2020, 10:32 pm

সামাজিক মাধ্যমে একটি চুক্তিপত্রের স্ক্রিনশট ভাইরাল হয়েছে যেখানে অভিযোগ করা হচ্ছে যে যুক্তরাজ্য সরকার করোনা ভাইরাসের ক্ষতি সম্পর্কে অবগত হয়েই তা ব্যবহারে অনুমতি দিচ্ছে। 

দাবিটি অসত্য। যুক্তরাজ্যের ‘মেডিসিন এন্ড হেলথকেয়ার প্রোডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি’ জানায় যে, তারা গবেষণার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন নিয়ে কোনো ক্ষতি বা পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কোন আশঙ্কা এখনো করছে না।   
  
এরকম কিছু দাবি দেখুন এখানে এবং এখানে। এছাড়া উক্ত স্ক্রিনশটের উপর ভিত্তি করে একটি প্রতিবেদনও দেখা গেছে ন্যাচারাল নিউজ নামের অনলাইন পত্রিকায়।  

ন্যাচারাল নিউজ সাইটের

এই ভুয়া দাবিটির মূল উৎস মূলত যুক্তরাজ্য সরকারের একটি চুক্তিপত্র। উক্ত চুক্তিপত্রের নোটিশে দেশটি “একটি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন সফটওয়ারের প্রয়োজনীয়তা জানিয়েছে যা দিয়ে করোনার ভ্যাক্সিনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াগুলো সহজে নির্ণয় করা যাবে।”

এ ব্যাপারে ‘মেডিসিন এন্ড হেলথকেয়ার প্রডাক্টস রেগুলেটরি এজেন্সি’ বিভাগের এক মুখপাত্র রয়টার্সকে জানান, “অন্যান্য সকল ঔষধের মত করোনার ভ্যাক্সিনেরও কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া থাকবে। তবে তা অল্প সময়ের জন্যে এবং কম ক্ষতিকর। এছাড়া সবার ক্ষেত্রে তা একরকম হবে না”

তিনি বলেন, “এ সকল পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়াগুলোর ব্যাপারে আরো বেশি ওয়াকিবহাল থাকতে আমরা প্রযুক্তির আশ্রয় নিচ্ছি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স) ব্যবহার তার মধ্যে একটি। এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত গবেষণার ভিত্তিতে আমরা এই ভ্যাক্সিন ব্যবহারে তেমন কোন আশঙ্কা দেখছি না। তবে ভ্যাক্সিনটির ব্যবহারে অন্যান্য ভ্যাক্সিনের মতই সাধারণ কিছু নিয়মাবলী থাকবে বলে আশা করা যায়।”

তিনি আরো জানান, “করোনার যেকোনো ভ্যাকসিন সকল পরীক্ষায় নিরাপদ প্রমানিত হওয়ার পরেই তা ব্যবহারে অনুমতি দেয়া হবে।”

এদিকে মিডান ডিজিটাল হেলথ ল্যাবের একদল গবেষক যুক্তরাজ্যে ভ্যাক্সিন সহজলভ্য হওয়ার আগেই ভ্যাক্সিনের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মনিটরিং নিয়ে কাজ করছেন। 

তারা বলেন, সরকার ভ্যাকসিনের নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত এরকম কোন কারণ থেকে নয়, বরং “ক্ষুদ্র পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও যাতে বেশিরভাগ ব্যবহারকারীর মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য নিবিড় পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন”। 

তারা জানান, ভ্যাক্সিন নেওয়ার পর যেকোনো অস্বাভাবিকতা হলেই তা ভ্যাক্সিনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হিসেবে ধর্তব্য নয়। যেমন ভ্যাকসিন নেওয়ার তিনদিন পর কারো মাথা ব্যাথা হলেই তা ভ্যাক্সিনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া নয়, দুশ্চিন্তা থেকেও হতে পারে। 

তারা আরো ব্যাখ্যা করেন, “ ভ্যাকসিন কতটা নিরাপদ তা পুরোপুরি গণস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং চিকিৎসকদের মুল্যায়নের বিষয়।”

সে কারনেই যেকোনো ভ্যাকসিন ক্রিনিকাল ট্রায়ালে যথাযথ হিসেবে বিবেচ্য হলেও সেখানে একটি আলাদা যথাযথ মনিটরিং ব্যবস্থা থাকা উচিত। ভ্যাকসিন কিভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে তা দেখা যাচ্ছে এই সাইটে। 

তাই যুক্তরাজ্য সরকার ভ্যাক্সিনের পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার যথাযথ পর্যবেক্ষণের জন্যে আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার করছে। এর মানেই যে উক্ত ভ্যাকসিনে নিশ্চিত ভয়ানক পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হবে, তা মনে করা ভিত্তিহীন। উক্ত ভ্যাকসিন তখনই ব্যবহারে অনুমতি দেয়া হবে যখন তা ব্যবহারে সম্পূর্ণ নিরাপদ হবে।  

রয়টার্স অবলম্বনে



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *