ফ্যাক্টচেক প্রতিবেদন: ২৯ অক্টোবর দৈনিক যুগান্তর “রামুতে রোহিঙ্গার হামলায় বাংলাদেশি যুবকের মৃত্যু” শিরোনামের সংবাদে একটি ছবি ছাপা হয়। ছবির ক্যাপশনে লিখা হয়, “উখিয়ায় শনিবার রোহিঙ্গাদের হামলায় রক্তাক্ত এক বাংলাদেশী নলকূপকর্মী।” কিন্তু বিডি ফ্যাক্ট চেকের অনুসন্ধানে জানা যায়, ছবিটি ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরে পল্টন ময়দানে আহত এক ব্যক্তির।
চিত্র ১: অক্টোবর ২৯ তারিখের ১৫ পৃষ্ঠায় ছাপানো দৈনিক যুগান্তরের ইপেপারের স্ক্রিনশট।
দৈনিক যুগান্তরে সংবাদটি ছাপা হয়েছে প্রথম পৃষ্ঠায়। সেখান থেকে সংবাদটি জাম্প করেছে পৃষ্ঠা ১৫ তে। আর এখানেই দুই কলামব্যাপী এই ছবিটি ছাপা হয়। ছবির সংবাদটিতে বলা হয়, “উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্পে শুক্রবার রাতে নলকূপ স্থাপনকর্মী বাংলাদেশিদের ওপর হামলা চালিয়েছে রোহিঙ্গারা। ক্যাম্পের মসজিদ চত্বরে তাঁবুতে তখন ঘুমাচ্ছিলেন তারা। রোহিঙ্গারা পিটিয়ে ৫ জনকে আহত করে। আরও চারজনকে তুলে নিয়ে যায়। তবে পুলিশ তাদের উদ্ধার করেছে। হামলার সময় দুই রাউন্ড গুলিও চালিয়েছে তারা। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।” আর এই দুইজনের মধ্যে একজন হচ্ছে ছবির রক্তাক্ত মানুষটি।
বিডি ফ্যাক্ট চেকের অনুসন্ধানে জানা যায়, দৈনিক যুগান্তর যে ছবিটি ব্যবহার করেছে তা ২০০৬ সালের ২৮ অক্টোবরের ছবি। ওইদিন ঢাকার পল্টন ময়দানে ও তার আশেপাশের এলাকায় যে সংঘর্ষ হয়েছিলো তাতে আহত হয় লোকটি।
গুগল সার্চ করে দেখা যায়, ছাত্রসংবাদ ২০১৪ সালের অক্টোবর সংখ্যায় “এই বর্বরতা আইয়্যামে জাহিলিয়াকেও হার মানায়” – শিরোনামে একটি সাক্ষাৎকারে এই ছবি ছাপা হয়। সাক্ষাৎকারটি ছিলো জাতীয় ছাত্রসমাজের আহবায়ক এম এ মামুন উল হাসিব ভূঁইয়ার। একই ম্যাগাজিন এই ছবি ছাপিয়েছিলো ২০১২ সালের অক্টোবর সংখ্যায়। ওই সংখায় শফিকুল ইসলাম মাসুদের “বিবেকের কাছে দায়বদ্ধ আমাদের ২৮ অক্টোবর” শিরোনামের একটি কলামে এই ছবি ছাপা হয়েছিলো।
চিত্র ২: ছাত্রসংবাদের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া স্ক্রিনশট।
অতএব দেখা যাচ্ছে, দৈনিক যুগান্তর “উখিয়ায় শনিবার রোহিঙ্গাদের হামলায় রক্তাক্ত এক বাংলাদেশী নলকূপকর্মী” ক্যাপশনে যে ছবিটি প্রকাশ করেছে তা কোনভাবেই রোহিঙ্গাদের হামলায় রক্তাক্ত বাংলাদেশীর ছবি নয়।